যশোরের শার্শায় কৃষক আতাউর রহমান আগাম গ্রীষ্মকালীন (ইপসা-১) হাইব্রিড জাতের শিম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। জেলার মাটি আগাম সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দ্বিগুণ ফলন হচ্ছে। এতে আগাম শিম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। এ বছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে আগাম শিম চাষ হয়েছে।
জানা যায়, কৃষক আতাউর রহমানের (উলাশী ব্লক) ৩৩ শতক জমিতে শিম গাছে ফুল ও ফলে ভরে গেছে। গত জুলাই মাসে জমিতে আগাম জাতের শিমের বীজ রোপণ করেন। রোপণের ৪৫ দিন পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রায় ৬০ দিন পর গাছ থেকে শিম উত্তোলন করা শুরু করেন। চারা রোপণ, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, আগাছা দমন, কীটনাশক ও মাচা তৈরিসহ মোট ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে ৯০-১০০ টাকা দরে শিম পাইকারি বিক্রি করছেন।
কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি ৩৩ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। প্রতি সপ্তাহে জমি থেকে ৪ মণ করে শিম তুলতে পারছি। বাজারে শিমের ভালো দাম পাচ্ছি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘শার্শা কৃষি অফিস থেকে আমাকে হাইব্রিড জাতের এই শিমের বীজ দিয়েছিল। এই শিমের নাকি ফলন অন্য শিমের চেয়ে বেশি হয়। তাই আমি এই জাতের শিমের চাষ করেছি এবং অনেক লাভবান হয়েছি। কৃষি অফিস থেকে তারা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’