• বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুক্তাগাছায় সাবেক কমিশনার উজ্জলের ছোট ভাই বাবুর জানাযা সম্পন্ন মুক্তাগাছায় নার্সিং ও মিডওয়াইফ কর্মকর্তাদের মানববন্ধন মুক্তাগাছায় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে ইমাম, খতিব ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় জাতীয় সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ মুক্তাগাছা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় যুবদিবসে মুক্তাগাছায় সনাকের উদ্যোগে দুর্নীতিবিরোধী গণশপথ  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ২৫ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা কত কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু পারছি না: পরীমনি গভর্নরের ডাক ফাইল দেখবেন নূরুন নাহার পেটে মাছ ঢুকে কিশোরের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নোটিশঃ
জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের মেইল ডটকম এর পরিক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে।

স্যামসাংকে পেছনে ফেলল অ্যাপল

ঢাকা অফিস / ১০ ০৭ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্মার্টফোন শিপমেন্টের ক্ষেত্রে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গেছে অ্যাপল। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। আইডিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১০ সালের পর এই প্রথম অ্যাপল বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন শিপমেন্টের ক্ষেত্রে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গেছে। অ্যাপলের এই বৃদ্ধির কারণ হলো প্রিমিয়াম আইফোন মডেলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং আকর্ষণীয় অফার। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের চালান কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবার কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালের শেষে ২০২২ সালের তুলনায় ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এই বৃদ্ধি ২০২৪ সালেও দেখা যাবে। শীর্ষে থাকা ৫ ব্র্যান্ডের মধ্যে অ্যাপল শীর্ষে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসাং। এরপর শাওমি তৃতীয় স্থানে, অপো আছে চতুর্থ স্থানে, ট্রান্সশন হোল্ডিং আছে পঞ্চম স্থানে। আইডিসির মতে, স্মার্টফোন শিপমেন্টে কমে যাওয়ার কারণে এই কঠিন অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের চালান বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ৩২.৬১ কোটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। সেখানে বছরে বৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে এই প্রথম স্যামসাং এবং অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে ছাড়িয়ে গেছে অ্যাপল। ২০২৩ সালের আইফোন নির্মাতা অর্থাৎ অ্যাপলের বাজার শেয়ার বেড়ে ২০.১ শতাংশ হয়েছে। কোম্পানিটি পুরো বছরে ২৩.৪৬ কোটি ইউনিট পাঠিয়েছে। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের বাজার শেয়ার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। সংস্থাটি ২২.৬৬ কোটি ইউনিট পাঠিয়েছে। শাওমি ১৪.৫৯ কোটি ইউনিট শিপিং করে ১২.৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছে। বছরের শেষে অ্যাপল শীর্ষে রয়েছে। কোম্পানিটির বাজার শেয়ার রয়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর আসে স্যামসাং, শাওমি, ট্রান্সশন এবং ভিভো। আইডিসির তথ্য অনুযায়ী ১৩ বছর হয়ে গেছে যখন স্যামসাং শীর্ষে নেই। এর আগে ২০১০ সালে কোম্পানিটি শীর্ষে ছিল না। ২০২৩ সালটি আইফোনের জন্য বিশাল সাফল্যের বছর হয়ে থাকবে। গোটা বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহে স্যামসাংয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকার’-এর প্রাথমিক তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালে অ্যাপল সারা বিশ্বে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন পাঠিয়েছে, যা পুরো বাজারের ২০ দশমিক এক শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। সে তুলনায়, একই সময়ে পুরো বিশ্বে ২২ কোটি ৬৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন পাঠিয়েছে স্যামসাং, যা স্মার্টফোন শিপমেন্টে বাজারের ১৯ দশমিক চার শতাংশ। আইডিসির সঙ্গে মিল রেখে একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি ‘ক্যানালিস’ও। ২০১০ সাল থেকেই এই অবস্থান ধরে রেখেছিল স্যামসাং। তার আগে শীর্ষে ছিল ফিনিশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ‘নোকিয়া’। এমনকি অ্যাপল তখন শীর্ষ পাঁচেও স্থান পায়নি। গত বছরের শীর্ষ পাঁচে জায়গা পাওয়া বাকি স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো যথাক্রমে শাওমি, অপো ও চীনা ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘ট্রান্সশন’। আর তাদের বৈশ্বিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট যথাক্রমে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ, ১০ কোটি ৩১ লাখ ও নয় কোটি ৪৯ লাখ। স্মার্টফোন শিল্পে জোরালো প্রতিযোগিতা ও ক্রমাগত বিধিনিষেধের কারণে এই পরিবর্তনটি উল্লেখযোগ্য বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
অ্যাপলের ভূমিকা
আইডিসির ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড মবিলিটি অ্যান্ড কনজিউমার ডিভাইস ট্র্যাকার্স’ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান রেথ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘স্যামসাংয়ের রেকর্ড ভাঙার পেছনে অ্যাপল নিশ্চিতভাবেই বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে সামগ্রিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন খাতেও বৈচিত্র্য বাড়ছে। হুয়াওয়ে ফিরে এসেছে এবং চীনা স্মার্টফোন বাজারে দ্রুতই জায়গা করে নিচ্ছে। এ ছাড়া কম দামে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ডিভাইস বাজারে আনছে ওয়ানপ্লাস, অনার, গুগল ও অন্যান্য ব্র্যান্ডও। পাশাপাশি এগুলোতে ফোল্ডেবল সুবিধার পাশাপাশি এআই সক্ষমতা যোগ করার বিষয়টিও বাড়তি আকর্ষণ।’ সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোনের বাজার বেশ কৌতূহলোদ্দীপক সময়ের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন শিপমেন্টের বাজার কমেছে তিন দশমিক দুই শতাংশ। তবে চতুর্থ প্রান্তিকে বেড়েছে আট দশমিক চার শতাংশ। তবে চীনা স্মার্টফোন বাজারে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে অ্যাপলকে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটিতে আইফোন বিক্রি আগের বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। চীনের বাজারে বিক্রি বাড়াতে আইফোন ১৫ সিরিজের স্মার্টফোনে ডিসকাউন্টের ঘোষণাও দিয়েছে অ্যাপল, যা কোম্পানির ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত। তবে প্রতিকূল এ বাজারে টিকে থাকার লড়াইয়ে মার্কিন টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি ইতিবাচক ফল পেতে পারে বলে এমন প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।


এই বিভাগের আরো সংবাদ