• বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুক্তাগাছায় সাবেক কমিশনার উজ্জলের ছোট ভাই বাবুর জানাযা সম্পন্ন মুক্তাগাছায় নার্সিং ও মিডওয়াইফ কর্মকর্তাদের মানববন্ধন মুক্তাগাছায় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে ইমাম, খতিব ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় জাতীয় সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ মুক্তাগাছা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় যুবদিবসে মুক্তাগাছায় সনাকের উদ্যোগে দুর্নীতিবিরোধী গণশপথ  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ২৫ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা কত কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু পারছি না: পরীমনি গভর্নরের ডাক ফাইল দেখবেন নূরুন নাহার পেটে মাছ ঢুকে কিশোরের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নোটিশঃ
জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের মেইল ডটকম এর পরিক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে।

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমা

ঢাকা অফিস / ৩ ০৭ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কাকুতি-মিনতি ও কায়মনোবাক্যে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। সমগ্র বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তা, ঐক্য, মুক্তি এবং ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে মিনতি জানানো হয়। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আমীন’ ধ্বনিতে সকালের আকাশ-বাতাস কাপিঁয়ে মহামহিম ও দয়াময় আল্ল¬াহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসলমান। লাখো মানুষের কাঙ্খিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। সকাল ১১ টা ১৭ থেকে শুরু করে ১১ টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ২৬ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন আখেরী মোনাজাতে অযুতকন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। সকালের আকাশ কাপিয়ে ধ্বনি উঠে- হে আল্লাহ, হে আল্লাহ। মুঠোফোনে এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরো লাখ লাখ মানুষ এক সঙ্গে হাত তুলেছেন মহান আল্লাহর দরবারে। প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নায় বুক ভাসিয়েছেন। সকাল থেকে দিক নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল সাড়ে ১১ টা ১৭ মিনিটে। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তুলেন আল্লাহর দরবারে। আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে রোববার রেকর্ডসংখ্যক মুসলমান যেন ভেঙে পড়েছিলেন টঙ্গীতে। ২৬ মিনিটের আবেগঘন মোনাজাতে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী প্রথম ১২ মিনিট মূলত: পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ১৪ মিনিটে তিনি আরবি ও উর্দু ভাষার সংমিশ্রনে দোয়া করেন।

ইজতেমা মুরুব্বিদের আরজ ও শুকরিয়া : ইজতেমা ময়দানে হেদায়েতি বয়ান শেষে আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, আজ যদি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী সাহেব ইজতেমা ময়দানে আসতে পারতেন, তাহলে আখেরি মোনাজাত তিনিই পরিচালনা করতেন। ওঁর অনুপস্থিতিতে অন্তরে ব্যথা নিয়েই ইজতেমা শেষ করতে হলো। আমরা বেশি বেশি করে দোয়া করব যাতে মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী খুব দ্রুত বাংলাদশে আসতে পারেন। এ সময় তিনি ইজতেমা ময়দানে সমবেত মুসল্লিদের দোয়া করার ওয়াদা করান। যারা মাওলানা সাদের বিরোধিতা করেন তারা যেন তাকে বাংলাদেশে আসতে বাধা না দেন সেই আহ্বানও জানান তিনি। পরে তিনি সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিশ্ব ইজতেমায় সহযোগিতার করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

মোনাজাতে মুসল্লি¬দের ঢল : রোববার আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি¬গণ টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন শনিবার থেকে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও কেবলমাত্র আখেরি মোনাজাতে শরীক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লি¬গণ বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেনে করে টঙ্গীতে পৌছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে রাতেই টঙ্গীমুখো হন। শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টঙ্গীমুখি সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের বাসা-বাড়ি, ভবন, ভবনের ছাঁদ এবং করিডোরে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন। রোববার ভোররাত থেকে যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি পাঞ্জাবী পরা মানুষের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার শুরু হয়।

হেদায়েতী বয়ান : মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাওয়াতে তাবলীগের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়ে মানুষকে মসজিদের পরিবেশে আনতে হবে। মসজিদের পরিবেশে এনে তাদেরকে নানা ধরনের মাসলা-মাসায়েল বুঝিয়ে ও শিখিয়ে ইমান মজবুত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুনিয়ার সকল মমিন মুসলমান একত্র হয়ে মসজিদ আবাদ করতে হবে। মসজিদ শুধু যে তাবলীগের সাথীরা আবাদ করবে এমনটা নয়, সকল মমিন মুসলমানেরই দায়িত্ব মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, মাসলা-মাসায়েল, তালিমের হালকায় বসা, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আসকারের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘যাকে বেশি বেশি মসজিদে আসতে দেখ, তার ইমানের ব্যাপারে তুমি সাক্ষ্য দাও।’ যে লোক বেশি বেশি মসজিদে আসে, সে-ই মসজিদ আবাদকারী এবং ইমানওয়ালা মানুষ। তিনি আরও বলেন, মসজিদগুলোকে পড়াশোনার জায়গা হিসেবে তৈরি করতে হবে। দ্বীন শিখানোর কাজ প্রতিটি মসজিদে চালু করতে হবে। মসজিদের যত ইমাম, ওস্তাদ, মোয়াজ্জিন ও ওলামায়ে কেরাম আছে ওঁরা হবেন শিক্ষক এবং আমরা যারা জনসাধারণ আছি, আমরা হবো ছাত্র। মসজিদে মুন্তাখাব হাদিস, ফাযায়েলে আমলের কিতাব নিয়মিত শিখতে ও শেখাতে হবে। তিনি বলেন, দাওয়াতে তাবলীগের কাজ হলো প্রত্যেককে তাশকিল করে করে আল্লাহর রাস্তায় বের করতে হবে। চার (একচিল্লা) মাসের জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হতে মানুষকে বুঝাতে হবে। চার মাস, এক বছর, দুই বছর ও আজীবনের জন্য আমাদেরকে তাবলীগের দাওয়াতী কাজে বের হওয়ার জন্য নিয়ত করতে হবে। মাস্তুরাত (মহিলা) জামাত বের করার জন্যও আমরা তাশকিল করবো। ছাত্রদের দাওয়াতী কাজে বের করার জন্যও তাশকিল করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাতে যা বলা হল : দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের মুরুব্বি মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি বলেন, হে আল্লাহ, আমাদের উপর রহম করেন। হে আল্লাহ, আপনি সকল ক্ষমতার অধিকারী, সর্বশ্রোতা, দয়ালু। আপনি আমাদের গুনাহকে মাফ করে দেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রয়োজন মিঠিয়ে দেন। হে আল্লাহ, আমাদেরকে ইমানের হাকিকত ও কামাল নসীব করে দেন। হে আল্লাহ, আমাদেরকে ইমানী জিন্দেগী নসীব করে দেন। হে আল্লাহ, ওলামাদের কদর করার তৌফিক দান করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের হয়ে যান, আমাদেরকে আপনার করে নেন। হে আল্লাহ, সারা দুনিয়ায় ইসলামকে জিন্দা করে দেন। হে আল্লাহ সারা বিশ্বের মুসলমানকে হেফাজত করেন, ইসলামের হেফাজত করেন। হে আল্লাহ, ইমানের সঙ্গে মউত নসীব করে দেন। হে আল্লাহ, সারাজীবন যেন আপনার হাবিবের সুন্নতের উপর চলতে পারি সেই তৌফিক দান করেন। হে আল্লাহ, নাফরমানি থেকে আমাদেরকে হেফাজত করেন। হে আল্লাহ, একে অপরকে ভালোবাসতে পারি সেই তৌফিক দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের মাঝ থেকে গাফিলতি দূর করে দেন। হে আল্লাহ, সাহাবাদের মতো ঈমানি জিন্দেগি দান করেন। হে আল্লাহ, আমাদের জীবন মুমিন ও কামেল ওলিদের মতো করে দেন। হে আল্লাহ, আমাদের আখলাককে সুন্দর করে দেন। হে আল্লাহ, অন্তরের সব খারাবী দূর করে দেন। হে আল্লাহ, সকল মুসলমানের ইমান-আমল, জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুকে হেফাজত করেন। হে আল্লাহ, দাওয়াতের কাজকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেন। হে আল্লাহ, ইজতেমাকে সারা দুনিয়ার মানুষের হেদাতের জরিয়া হিসেবে কবুল করেন। হে আল্লাহ, রোগে আক্রান্তদেরকে শেফা দান করেন। হে আল্লাহ, যারা দোয়া চেয়েছে তাদের মনের আশা পূরণ করুন। হে আল্লাহ, ইজতেমায় বয়ানকারী, শ্রোতা, অংশগ্রহণকারী ও সহযোগিতাকারী সবাইকে কবুল করেন। হে আল্লাহ, ইজতেমাকে সফল করার জন্য যতরকম কাজ করা হয়েছে সবগুলোকে আপনি কবুল করেন। হে আল্লাহ, বাংলাদেশকে ইজতেমার জন্য কবুল করেন।

মোনাজাতে ভিআইপিদের অংশগ্রহণ : ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লির সাথে আখেরি মোনাজাতে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আরও এক মুসল্লিসহ দুইপর্বে মোট ৩৪ মুসল্লির মৃত্যু : ইজতেমা ময়দানে রোববার ভোরে আরও এক মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হলেন-যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার চাঁদাতোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে হারুন অর-রশিদ (৬৫)। এর আগে ময়দানে ৬জন এবং ইজতেমায় আসার পথে গাড়ির ধাক্কায় আরো একজনের মৃত্যু হয়। ময়দানে মারা যাওয়া ৬ মুসল্লি হলেন-ঢাকা জেলার বংশাল থানার বাবুবাজার এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মুনতাজ উদ্দিন (৭৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার বড়াইখোলা গ্রামের মৃত বেলায়েত মন্ডলের ছেলে জালাল মন্ডল (৬০), জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালেরচর গ্রামের ছাবির উদ্দিনের ছেলে নবীর উদ্দিন (৬০), শেরপুর জেলা সদরের মৃত মহেজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিনের ছেলে আবদুল হেলিম মিয়া (৬২) ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার শেরনগর গ্রামের মৃত ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে জহির উদ্দিন (৭০)। এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমায় আসার পথে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা আবুল কাসেম (৬৫) নামে এক মুসল্লি মারা যান। এছাড়াও প্রথমপর্বে ইজতেমা ময়দানে অবস্থানকালীন ও ময়দানে আসার পথে ২৬জন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এবারের বিশ্ব ইজতেমার দুইপর্বে মোট ৩৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হলো।

ইজতেমায় বিদেশি মেহমান : বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগমুহুর্ত পর্যন্ত বিশ্বের ৬৫টি দেশের প্রায় ৯ হাজার ২৩১ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইজতেমা ময়দানের মিডিয়া সমন্বযক মোহাম্মদ সায়েম জানান, ময়দানে উর্দু ভাষাভাষী ২ হাজার ৬৬২জন, ইংরেজি ভাষাভাষী ২হাজার ৬১৫জন, আরবি ভাষার ৭৩২ জন, বাংলা ভাষাভাষী ২ হাজার ৭৫৯জন, বিদেশি শিক্ষার্থী ২৭৩ জন, বিদেশে বসবাসকারী দেশ ত্যাগী (এক্সপেট্রিয়ট) ১৯০ জন বিদেশি মেহমান তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

মোনাজাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ : বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণও আগের তুলনায় বেড়েছে। রোববার সকাল থেকে ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়ি, বারান্দা, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, স্টেশনরোড, হাজীর মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন অলি-গলির খালি জায়গায় বসে হাজার হাজার মহিলা আখেরি মোনাজাতে শামিল হন।

মোনাজাত শেষে যাত্রাপথে ভোগান্তি: আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়া মানুষ একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। এ সময় মোনাজাত করতে আসা মানুষগুলো শুরু করে দেয় হুড়োহুড়ি এবং আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এতে টঙ্গীর আশেপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ও মানবজট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন।

দুইপর্বে যৌতুকবিহীন ৮৬টি বিয়ে: শনিবার বাদ আসর দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন ১৪টি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কনের সম্মতিতে এবং বর-কনের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এবিয়ে পড়ান দিল্লির মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমায় প্রথমপর্বে ৭২টি যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে উভয় পর্বে মোট ৮৬টি যৌতুক বিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

বিদেশিসহ প্রায় তিন হাজার জামাত: ইজতেমা ময়দানের গণমাধ্যম সমন্বয়কারি মোহাম্মদ সায়েম বলেন, তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বিদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার দুপুর পর্যন্ত ময়দান থেকে দেশি-বিদেশি প্রায় তিন হাজার জামাত দেশ বিদেশের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে গেছেন। জামাতবন্দী হয়ে দ্বীনের দাওয়াতী মেহনতে দেশ-বিদেশে কাজ করবেন তারা। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সন্তোষ প্রকাশ: টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলি শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ জানান, আলহামদুলিল্লাহ। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বের সমাপ্তি ঘটেছে।


এই বিভাগের আরো সংবাদ